বর্তমান সময়ে বস্ত্রশিল্প এক উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করে আছে, আর এই ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়ছে। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে শুরু করে ফ্যাশন ডিজাইনিং, নানান ধরনের কাজের সুযোগ এখন হাতের মুঠোয়। আমি নিজে যখন এই লাইনে ক্যারিয়ার শুরু করার কথা ভাবছিলাম, তখন অনেক দ্বিধা ছিল। তবে এখন দেখছি, পরিশ্রম আর সঠিক জ্ঞানের মাধ্যমে এখানে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়া সম্ভব।নতুন নতুন প্রযুক্তি আসার ফলে এই সেক্টরে পরিবর্তন আসছে খুব দ্রুত। তাই যারা এই পেশায় আসতে চান, তাদের জন্য আধুনিক জ্ঞান রাখাটা খুব জরুরি। আসুন, এই শিল্পের ভবিষ্যৎ এবং চাকরির সুযোগ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। নিশ্চিতভাবে আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে সবকিছু আলোচনা করা হলো।
বর্তমান সময়ে বস্ত্রশিল্পে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ নিয়ে কিছু আলোচনা করা হলো:
পোশাক শিল্পে নতুন দিগন্ত: সুযোগ এবং সম্ভাবনা

পোশাক শিল্প বাংলাদেশে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাত। এটি দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে এবং প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। এই শিল্পে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ডিজাইন এবং প্রযুক্তি যুক্ত হচ্ছে, যার ফলে বাড়ছে কাজের ক্ষেত্র। একসময় মনে করা হতো, এই সেক্টরে শুধু সেলাইয়ের কাজই প্রধান, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে এখানে ডিজাইন, মান নিয়ন্ত্রণ, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ রয়েছে। আমি যখন প্রথম এই ইন্ডাস্ট্রিতে আসি, তখন এত বৈচিত্র্য ছিল না। এখন একজন তরুণ গ্র্যাজুয়েট নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন পদে কাজ করতে পারে।
পোশাক ডিজাইনিং: সৃজনশীলতার প্রকাশ
পোশাক ডিজাইনিং একটি সৃজনশীল কাজ। এখানে নতুন নতুন আইডিয়া দিয়ে পোশাকের ডিজাইন তৈরি করা হয়। যারা ফ্যাশন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, তাদের জন্য এটা একটা দারুণ সুযোগ। আমি দেখেছি, অনেক তরুণ ডিজাইনার এখন নিজেদের ডিজাইন করা পোশাক বিভিন্ন ফ্যাশন শো-তে তুলে ধরছেন এবং খুব দ্রুত পরিচিতি লাভ করছেন। ডিজাইনের পাশাপাশি কাপড়ের মান, রং এবং আরামের দিকেও খেয়াল রাখতে হয়, যা একজন ডিজাইনারকে আরও বেশি দক্ষ করে তোলে।
মান নিয়ন্ত্রণ: গুণগত মান নিশ্চিত করা
পোশাক তৈরির সময় মান নিয়ন্ত্রণ খুব জরুরি। পোশাকের মান ঠিক আছে কিনা, তা পরীক্ষা করার জন্য মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগে লোক নিয়োগ করা হয়। আমার এক বন্ধু এই বিভাগে কাজ করে। সে জানায়, একটি পোশাক তৈরি হওয়ার আগে এবং পরে বেশ কয়েকবার পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। পোশাকের রং, সেলাই এবং কাপড়ের গুণগত মান সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা, তা দেখা হয়। এই কাজটি করার জন্য খুঁটিনাটি বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া এবং টেকনিক্যাল জ্ঞান থাকা দরকার।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং: কারিগরি জ্ঞান এবং ক্যারিয়ার
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বস্ত্রশিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। এই বিভাগে কাপড় তৈরি থেকে শুরু করে পোশাক তৈরি পর্যন্ত সমস্ত কারিগরি দিকগুলো দেখা হয়। যারা বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি ভালোবাসেন, তাদের জন্য এই ক্ষেত্রটি খুব আকর্ষণীয় হতে পারে। আমি যখন একটি টেক্সটাইল মিলে গিয়েছিলাম, তখন দেখেছিলাম ইঞ্জিনিয়াররা কীভাবে মেশিনগুলো পরিচালনা করছেন এবং নতুন নতুন টেকনিক ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়াচ্ছেন।
উৎপাদন ব্যবস্থাপক: দক্ষতা এবং নেতৃত্ব
উৎপাদন ব্যবস্থাপনার কাজ হলো পুরো উৎপাদন প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে পরিচালনা করা। একজন উৎপাদন ব্যবস্থাপককে জানতে হয় কীভাবে কম সময়ে এবং কম খরচে ভালো মানের পোশাক তৈরি করা যায়। এই কাজের জন্য প্রয়োজন দক্ষতা এবং নেতৃত্বের গুণাবলী। আমি একজন উৎপাদন ব্যবস্থাপকের সাথে কথা বলেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, প্রতিদিন নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসে এবং সেগুলো মোকাবেলা করতে হয়।
ফেব্রিক টেকনোলজিস্ট: কাপড়ের খুঁটিনাটি
ফেব্রিক টেকনোলজিস্টরা কাপড়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করেন। তারা কাপড়ের গঠন, রং, এবং বৈশিষ্ট্য নিয়ে গবেষণা করেন। এই পদের জন্য টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর জ্ঞান থাকা আবশ্যক। আমি যখন একটি ফেব্রিক রিসার্চ ল্যাবে গিয়েছিলাম, তখন দেখেছিলাম তারা কীভাবে নতুন নতুন কাপড় তৈরি করছেন এবং তাদের গুণাগুণ পরীক্ষা করছেন।
সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট: যোগান এবং বিতরণ
সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট বস্ত্রশিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই বিভাগে কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে শুরু করে তৈরি পোশাক গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত সমস্ত কাজ অন্তর্ভুক্ত। যারা লজিস্টিকস এবং ব্যবস্থাপনায় ভালো, তাদের জন্য এই ক্ষেত্রটি খুব উপযোগী। আমি একটি সাপ্লাই চেইন কনফারেন্সে অংশ নিয়েছিলাম, যেখানে বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছিলেন।
ক্রয় ব্যবস্থাপক: সঠিক দামে মানসম্মত পণ্য
ক্রয় ব্যবস্থাপকের কাজ হলো কোম্পানির জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল কেনা। তাদের সবসময় চেষ্টা করতে হয় যাতে সঠিক দামে ভালো মানের জিনিস কেনা যায়। এই কাজের জন্য বাজার সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হয়। আমার এক পরিচিত জন একটি পোশাক কারখানায় ক্রয় ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেন। তিনি বলেন, দামের পাশাপাশি গুণগত মানও দেখতে হয়, যাতে উৎপাদনে কোনো সমস্যা না হয়।
বিতরণ ব্যবস্থাপক: সময় মতো পণ্য ডেলিভারি
বিতরণ ব্যবস্থাপকের কাজ হলো তৈরি হওয়া পোশাকগুলো সময় মতো দোকানে বা গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। এই কাজের জন্য পরিবহন এবং লজিস্টিকস সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হয়। আমি একটি পোশাক কারখানার বিতরণ বিভাগে গিয়েছিলাম, যেখানে তারা ট্রাক এবং অন্যান্য যানবাহনের মাধ্যমে পোশাক বিভিন্ন জায়গায় পাঠাচ্ছিল।
ফ্যাশন মার্চেন্ডাইজিং: বাজার এবং বিপণন
ফ্যাশন মার্চেন্ডাইজিং হলো পোশাকের বাজার এবং বিপণন সংক্রান্ত কাজ। এই বিভাগে পোশাকের চাহিদা বোঝা এবং সেই অনুযায়ী বিপণন কৌশল তৈরি করা হয়। যারা মার্কেটিং এবং সেলস ভালোবাসেন, তাদের জন্য এই ক্ষেত্রটি খুবই উপযোগী। আমি একটি ফ্যাশন হাউজের মার্চেন্ডাইজিং টিমের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। তারা বিভিন্ন মার্কেট রিসার্চ করে জানতে চেয়েছিল কোন ধরনের পোশাকের চাহিদা বেশি।
বিপণন কর্মকর্তা: প্রচার এবং প্রসার
বিপণন কর্মকর্তারা পোশাকের প্রচার এবং প্রসারের জন্য কাজ করেন। তারা বিভিন্ন বিজ্ঞাপন তৈরি করেন এবং সামাজিক মাধ্যমে প্রচার চালান। এই কাজের জন্য সৃজনশীলতা এবং যোগাযোগ দক্ষতা খুব জরুরি। আমি একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় দেখেছিলাম, তারা কীভাবে পোশাকের নতুন কালেকশনগুলোর জন্য আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন তৈরি করছে।
বিক্রয় প্রতিনিধি: গ্রাহকের সাথে সরাসরি যোগাযোগ
বিক্রয় প্রতিনিধিরা দোকানে বা শোরুমে গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করেন এবং পোশাক বিক্রি করেন। তাদের পোশাক সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হয় এবং গ্রাহকদের প্রয়োজন বুঝতে পারতে হয়। আমি একটি পোশাকের দোকানে গিয়েছিলাম, যেখানে বিক্রয় প্রতিনিধিরা খুব আন্তরিকভাবে গ্রাহকদের সাহায্য করছিলেন।
| কাজের ক্ষেত্র | দায়িত্ব | যোগ্যতা |
|---|---|---|
| পোশাক ডিজাইনিং | নতুন ডিজাইন তৈরি করা | ফ্যাশন ডিজাইনিং-এ ডিগ্রি |
| মান নিয়ন্ত্রণ | পোশাকের মান পরীক্ষা করা | টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিগ্রি |
| উৎপাদন ব্যবস্থাপনা | উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিচালনা করা | ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ডিগ্রি |
| সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট | কাঁচামাল সংগ্রহ ও বিতরণ | লজিস্টিকস-এ ডিগ্রি |
| ফ্যাশন মার্চেন্ডাইজিং | বাজার গবেষণা ও বিপণন | মার্কেটিং-এ ডিগ্রি |
ই-কমার্স এবং অনলাইন ফ্যাশন: নতুন প্ল্যাটফর্ম
বর্তমানে ই-কমার্স এবং অনলাইন ফ্যাশন খুব জনপ্রিয়। অনেক পোশাক কোম্পানি এখন অনলাইনে তাদের পণ্য বিক্রি করছে। এর ফলে নতুন নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমি দেখেছি, অনেক ছোট কোম্পানিও এখন অনলাইনে তাদের পোশাক বিক্রি করে ভালো ব্যবসা করছে।
অনলাইন বিপণন: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রচার
অনলাইন বিপণন হলো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পোশাকের প্রচার করা। এর মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেল মার্কেটিং এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) অন্তর্ভুক্ত। যারা ডিজিটাল মার্কেটিং ভালোবাসেন, তাদের জন্য এটা একটা দারুণ সুযোগ। আমি একটি অনলাইন ফ্যাশন স্টোরে দেখেছিলাম, তারা কীভাবে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তাদের পোশাকের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে।
কন্টেন্ট ক্রিয়েটর: আকর্ষণীয় কনটেন্ট তৈরি
কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা পোশাকের ছবি এবং ভিডিও তৈরি করেন, যা অনলাইনে প্রচার করা হয়। এই কাজের জন্য সৃজনশীলতা এবং ফটোগ্রাফি বা ভিডিওগ্রাফি দক্ষতা প্রয়োজন। আমি একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের সাথে কথা বলেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, ভালো কন্টেন্ট তৈরি করতে হলে পোশাকের সৌন্দর্য এবং বৈশিষ্ট্য ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে হয়।
টেকসই ফ্যাশন: পরিবেশবান্ধব উৎপাদন
টেকসই ফ্যাশন এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। পরিবেশের উপর বস্ত্রশিল্পের খারাপ প্রভাব কমাতে অনেক কোম্পানি এখন পরিবেশবান্ধব উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যবহার করছে। এই ক্ষেত্রেও নতুন চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমি একটি টেকসই ফ্যাশন কনফারেন্সে অংশ নিয়েছিলাম, যেখানে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের কথা জানিয়েছিল।
পরিবেশবান্ধব উৎপাদন ব্যবস্থাপক: গ্রিন টেকনোলজি
পরিবেশবান্ধব উৎপাদন ব্যবস্থাপকদের কাজ হলো এমন উপায় বের করা যাতে পোশাক উৎপাদনে পরিবেশের ক্ষতি কম হয়। তারা গ্রিন টেকনোলজি এবং রিসাইক্লিং-এর ব্যবহার নিয়ে কাজ করেন। এই কাজের জন্য পরিবেশ বিজ্ঞান এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর জ্ঞান থাকা দরকার। আমি একটি পোশাক কারখানায় গিয়েছিলাম, যেখানে তারা সৌর প্যানেল ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছিল এবং পানির ব্যবহার কমিয়ে দিচ্ছিল।
রিসাইক্লিং টেকনিশিয়ান: পুরনো কাপড় থেকে নতুন কিছু
রিসাইক্লিং টেকনিশিয়ানরা পুরনো কাপড় থেকে নতুন কিছু তৈরি করেন। তারা পুরনো কাপড় সংগ্রহ করে সেগুলোকে আবার ব্যবহারযোগ্য করে তোলেন। এই কাজের জন্য সৃজনশীলতা এবং রিসাইক্লিং প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হয়। আমি একটি রিসাইক্লিং ওয়ার্কশপে দেখেছিলাম, তারা কীভাবে পুরনো জিন্স দিয়ে ব্যাগ এবং অন্যান্য জিনিস তৈরি করছে।
সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ
বস্ত্রশিল্পে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় প্রতিষ্ঠানেই চাকরির সুযোগ রয়েছে। সরকারি টেক্সটাইল কলেজগুলোতে শিক্ষকতার সুযোগ যেমন রয়েছে, তেমনই বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় মান নিয়ন্ত্রণ এবং পরিদর্শনের কাজও পাওয়া যায়। বেসরকারি sector-এ বিভিন্ন টেক্সটাইল মিল, বায়িং হাউজ এবং ফ্যাশন হাউজে কাজের সুযোগ প্রচুর।
টেক্সটাইল ইন্সপেক্টর: সরকারি মান নিয়ন্ত্রণ
টেক্সটাইল ইন্সপেক্টরদের কাজ হলো সরকারি মান নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী পোশাকের মান পরীক্ষা করা। তারা দেখেন যে পোশাকগুলো স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার নিয়ম মেনে তৈরি হয়েছে কিনা। এই কাজের জন্য টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সরকারি নিয়মকানুন সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হয়।
অধ্যাপক: শিক্ষা এবং গবেষণা
টেক্সটাইল কলেজগুলোতে অধ্যাপকরা শিক্ষার্থীদের বস্ত্রশিল্প সম্পর্কে শিক্ষা দেন এবং নতুন নতুন গবেষণা করেন। যারা শিক্ষকতা ভালোবাসেন এবং জ্ঞান বিতরণে আগ্রহী, তাদের জন্য এটা একটা চমৎকার পেশা। আমি একজন টেক্সটাইল অধ্যাপকের সাথে কথা বলেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, শিক্ষার্থীদের নতুন কিছু শেখানো এবং তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য প্রস্তুত করতে পারাটা খুব আনন্দের।এগুলো ছাড়াও আরও অনেক ধরনের কাজ আছে এই শিল্পে। প্রয়োজন শুধু নিজের আগ্রহ এবং চেষ্টা। সঠিক পথে এগিয়ে গেলে সাফল্য অবশ্যই আসবে।পোশাক শিল্পে ক্যারিয়ার নিয়ে এত কিছু আলোচনা করার একটাই উদ্দেশ্য, তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করা। এই সেক্টরে সুযোগের অভাব নেই, প্রয়োজন শুধু নিজের আগ্রহ আর পরিশ্রম। আশা করি, এই লেখাটি পড়ে তোমরা অনুপ্রাণিত হবে এবং সঠিক পথে এগিয়ে যেতে পারবে। তোমাদের সবার জন্য রইলো শুভকামনা।
শেষ কথা
পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। এখানে কাজ করে শুধু নিজের ভাগ্য নয়, দেশেরও উন্নতি সম্ভব।
নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করার সুযোগ এখানে সবসময় থাকে। তাই ভয় না পেয়ে এগিয়ে যাও।
নিজের দক্ষতা বাড়াতে চেষ্টা করো, দেখবে সাফল্য তোমার হাতে ধরা দেবেই।
মনে রাখবে, চেষ্টা করলে সবকিছুই সম্ভব। তোমাদের সবার জন্য শুভকামনা রইল।
দরকারী তথ্য
1. ভালো পোশাক ডিজাইনার হতে হলে ফ্যাশন ডিজাইনিং-এর উপর ডিগ্রি থাকা জরুরি।
2. মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগে কাজের জন্য টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।
3. সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টে ক্যারিয়ার গড়তে লজিস্টিকস-এর উপর ডিগ্রি নিতে পারো।
4. অনলাইন বিপণনে ভালো করতে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে হবে।
5. টেকসই ফ্যাশন নিয়ে কাজ করতে পরিবেশ বিজ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞান রাখা দরকার।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
পোশাক শিল্পে ক্যারিয়ার গড়তে হলে প্রথমে নিজের আগ্রহ খুঁজে বের করতে হবে। এরপর সেই অনুযায়ী পড়াশোনা এবং প্রশিক্ষণ নিতে হবে। বর্তমান সময়ে এই শিল্পে অনেক নতুন কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে, তাই নিজেকে যোগ্য করে তুলতে পারলে ভালো কিছু করা সম্ভব। এছাড়া, নেটওয়ার্কিং এবং ইন্ডাস্ট্রির সাথে যোগাযোগ রাখাও খুব জরুরি।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖
প্র: টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য কি কি যোগ্যতা লাগে?
উ: টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাইলে সাধারণত বিজ্ঞান বিভাগে ভালো ফল করা প্রয়োজন। পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও গণিতে ভালো নম্বর থাকাটা জরুরি। এছাড়া, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হয়, সেখানে ভালো ফল করতে হয়। আমি যখন পরীক্ষা দিয়েছিলাম, তখন অঙ্ক আর বিজ্ঞানের ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল।
প্র: ফ্যাশন ডিজাইনিং-এ ভালো করার জন্য কোন বিষয়গুলোর ওপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
উ: ফ্যাশন ডিজাইনিং-এ ভালো করতে হলে ক্রিয়েটিভিটি আর নতুন কিছু করার আগ্রহ থাকতে হবে। পোশাকের ডিজাইন, রঙের ব্যবহার এবং কাপড়ের সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকা দরকার। আমি যখন প্রথম ডিজাইন করি, তখন রঙের ব্যবহার নিয়ে অনেক দ্বিধা ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে সেটা ঠিক হয়ে যায়। এছাড়া, বর্তমান ফ্যাশন ট্রেন্ড সম্পর্কে সবসময় আপডেট থাকতে হয়।
প্র: টেক্সটাইল সেক্টরে নতুনদের জন্য কি ধরনের চাকরির সুযোগ আছে?
উ: টেক্সটাইল সেক্টরে নতুনদের জন্য অনেক ধরনের চাকরির সুযোগ রয়েছে। আপনি প্রোডাকশন অফিসার, কোয়ালিটি কন্ট্রোলার, ফ্যাশন ডিজাইনার অথবা মার্চেন্ডাইজার হিসেবে কাজ শুরু করতে পারেন। শুরুতে বেতন একটু কম হলেও অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে ভালো সুযোগ আসে। আমার এক বন্ধু প্রথমে একটি ছোট কোম্পানিতে কাজ করত, এখন সে একটি বড় টেক্সটাইল মিলে ভালো পদে আছে।
📚 তথ্যসূত্র
Wikipedia Encyclopedia
구글 검색 결과
구글 검색 결과
구글 검색 결과
구글 검색 결과
구글 검색 결과






